চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সাইফুল ইসলাম আলিফকে (৩৫) যেভাবে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকরা ‘যেভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে, তা নজিরবিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। শিগগিরই ‘সন্ত্রাসীদের’ গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে যেসব সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে তাদের অবশ্যই কঠোর শাস্তি হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুরু থেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবিদাওয়া আন্তরিকভাবে বিবেচনা করেছে। কিন্তু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বিভিন্ন সভা সমাবেশে মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছিল।’
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া সত্ত্বেও কোনও আইনগত পদক্ষেপ না নিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ বিভিন্ন সভা করে বেড়াচ্ছিলেন উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘মূলত এই ধরনের তৎপরতার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং বাংলাদেশ ও জুলাই অভ্যুত্থানকে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করা। ভারতীয় মিডিয়া এরকম মিথ্যা প্রচারণা বরাবরই করে আসছে।’
‘দেশে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পরিকল্পনা নিয়েই চিন্ময় কৃষ্ণ কাজ করছিল এবং সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে এ ধরনের সন্ত্রাসী সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি করেছে’, মন্তব্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বরাবরই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে একটা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে চেয়েছে দাবি করে তিনি লেখেন, ‘এখন ভারতীয় মিডিয়াও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি করতে চাইছে। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করবো। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার নাশকতাকারী হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের আইনি প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করবে। সবাইকে ধৈর্য ধারণ ও শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। দ্রুতই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :