বিধান কুমার বিশ্বাস : অবৈধ সম্পদ অর্জন, নানা অনিয়ম, ঘুষ দুর্নীতি, কর্মচারী ও দালালের সিন্ডিকেট তৈরি করে সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে তাদের নিকট থেকে মোটা অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন মর্মে জাতীয় গৃহায়ণ কতৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আলমগীর হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ হয়েছে। ফ্ল্যাটের সেল পারমিশন (বিক্রয় অনুমতি), হস্তান্তর সূত্রে বা দানসূত্রে মিউটেশন (নামজারি), চালান পাস, দায় মুক্তি সনদ ও হাজিরাসহ বিভিন্ন কাজ করতে সেবা প্রার্থীদের পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হতো বলে জানাযায়।
গত ২৫শে অক্টোবর-২৩ তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচা ১ এ লিখিত অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, মোঃ আলমগীর হোসেন মোল্লা উপ পরিচালক-২ ভূমি শাখায় থাকা অবস্থায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সকল দলিল রেজিস্ট্রি করার দায়িত্বে ছিলেন। উক্ত দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে উপ-পরিচালক অফিসে থাকা অবস্থায় সে অন্যায় ভাবে বিভিন্ন নথিতে স্বাক্ষর করতেন। ভূমি শাখার অফিস সহকারীগণ তাহার সিন্ডিকেটের সদস্য ছিল মর্মেও জানানো হয় অভিযোগ পত্রে। বর্তমানে কয়েক মাস পূর্বে মোঃ আলমগীর হোসেন মোল্লা অর্থ ও হিসাব শাখার দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
দুদক এর অভিযোগ পত্রে আরো বলা হয়, ভূমি শাখার দায়িত্ব থাকা অবস্থায় দুইটি বাড়ি, স্ত্রীর নামে দুটি ফ্ল্যাট ও নিজ নামে একটি গাড়ি ক্রয় করেন ও তার স্ত্রী- পুত্রের নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে। গ্রামের বাড়িতে রয়েছে আলিশান বাড়ি ও কয়েক কোটি টাকার সম্পদ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন আলমগীর হোসেন মোল্লা।
অভিযোগ পত্রে আরো বলা হয়, সরকারি ফাইল গায়েবের সাথে এই কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করা সত্বে একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান। ভলিউম থেকে বরাদ্দপত্র নং একজনের নামের পরিবর্তে অন্যজনের নাম বসাতে সহযোগিতা-ও করতেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আলমগীর হোসেন মোল্লা জানান, আমার নামে একজন অভিযোগ করতেই পারেন। তাই বলে যে সত্যি হবে তা না। আমার অফিস দালাল মুক্ত। আমার সম্পদ আয়করে অন্তর্ভূক্ত করা আছে। এর বাইরে আমার কোন বক্তব্য নেই। আসিতেছি পরবর্তী সংখ্যায়,,,,! পর্ব-১।
আপনার মতামত লিখুন :